যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের যে আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়েছে।
এসব অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শক্তিশালী। খবর রয়টার্সের।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) রব বন্টা উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে মঙ্গলবার এ আদেশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন।
সেই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন ম্যাসাচুসেটসসহ আরো ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বন্টা নিজেই ঘোষণা করেছেন এসব তথ্য।
বিবৃতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রেসিডেন্ট জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ক যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, তা অশোভন, অমার্জিত এবং পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
এই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খায় না। এই আদেশ জারির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার বড় ধরনের অপব্যবহার করেছেন এবং এজন্য আমরা তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।
আদালতের কাছে আমাদের অনুরোধ, যত শিগগির সম্ভব- এ আদেশ আটকে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং মামলা যতদিন চলবে, ততদিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বচানের প্রচারাভিযান চলাকালে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় গেলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বাতিল করবেন তিনি।সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মঙ্গলবার দুই শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প, তার মধ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশও ছিল।
-এমএমএস